Mail Setup Guide | New Mail Problem | Pocket Money

আমাদের কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত আপনাদের রেগুলার মেইল দেওয়া হয় সেটাপ করার জন্য। সে মেইল গুলো কিভাবে সেটাপ করলে ভালো হবে। অথবা কিভাবে সেটাপ করা উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা করছি।

Mail Setup: কিভাবে মেইল সেটাপ করবেন সেটা সরাসরি ট্রেইনার দ্বারা সেখানো হয়। তবুও বলে দিচ্ছি একটি মেইলের gmail username/address/mail, Password, Recovery Email এই তিনটি জিনিস থাকলে জিমেইলের এক্সেস/লগিন নেওয়া যায়। কাজ করার জন্য আমাদের জিমেইলের পাসওয়ার্ড আর রিকোভারি মেইলটা চেঞ্জ করে নিতে হয়। এতে জিমেইলটা আমাদের কাছে থাকে যার থেকে কেনা হয় সে আর চাইলেও এটার এক্সেস নিতে পারবে না। যেহেতু জিমেইলটা কিনে নেওয়া হয় তাই জিমেইলটা সেটাপ করে নেওয়া অনেক জরুরী। যে শীটে আপনাদের মেইল দেওয়া হবে সেখানে মেইলের সাথে নতুন পাসওয়ার্ড এবং নতুন রিকোভারি দিয়ে দেওয়া হবে, সেটা দিয়ে পরিবর্তন করে নিলেই হবে। মেইলের নাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ। হিবিজিবি নাম থাকলে সেটা পরিবর্তন করে নিতে হবে। রেন্ডম নাম ব্যবহার করলেই হবে। যদি নামের প্রয়োজন হয় তবে বিভিন্ন এপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকে নাম বানাতে পারেন। জিমেইলের যে নাম সে নাম কপি করে নির্ভুল্ভাবে শিটে দিয়ে রাখবেন।

New Mail: আমাদের কাজের জন্য নতুন জিমেইল ব্যবহার করা যায় না। সর্বনিম্ন ৩০ দিন পুরাতন মেইল ব্যবহার করতে হয়। তাই জিমেইল সেটাপ করার আগে জেনে নেওয়া দরকার জিমেইলটা কতদিন পুরাতন। কতদিন পুরাতন জানার জন্য নিচের ভিডিওটি দেখুনঃ

Video Credit Sumon Mia: https://youtube.com/watch?v=oowzwSxsWtY&si=g4DOgYGyuuIas4a4

Mail Setup Troubleshoot: জিমেইল সেটাপ করার সময় নানান ধরনের সমস্যার মুখোমুখী হতে হয়। কি কি ধরনের সমস্যা হয় আলোচনা করছি; প্রথমত যদি জিমেইলের কোনো এক্সেস ইনফরমেশন যেমনঃ মেইল এড্রেস, পাসওয়ার্ড বা রিকোভারি ভূল থাকে তবে জিমেইলে প্রবেশ করা যায় না। সেই সাথে ইনফরমেশন গুলো সদ্য পরিবর্তন করা হলেও জিমেইলে প্রবেশ করা যায় না। তাছাড়া সব ঠিক থাকলে ঢুকে দেখা গেল জিমেইলটি ডিজেবল হয়ে গেছে বা ফোন অথবা নাম্বার দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে বলতেছে (তার আগে ক্যাপচা আসলে সল্ভ করে দেখবেন আসলে কি সমস্যা) । জিমেইলের ভেতর ঢুকে দেখলেন একমাস হয় নাই এমন সকল জিমেইল নষ্ট হিসেবে ধরা হবে। যা আপনাদের শীটে রেড করে রাখবেন। যদি জিমেইলের কোনো ইনফমেশন চেঞ্জ করতে চাইলে ভেরিফিকেশন সমস্যা আসে তবে নিম্বের ভিডিওটি দেখুনঃ

Video Credit Sumon Mia: https://youtu.be/R1NHi256oZk?si=Plu-dVuLqPgYDUJH

প্রথম দিকের মেইল সেটাপ করে যদি নষ্ট হয় তবে সব মেইল একটা একটা করে চেক করতে হবে না। কিছু মেইল বাদ দিয়ে দিয়ে চেক করে যাবেন। যেমনঃ ১,২,৩,৬,১০,১৫,২০,২৬,৩২ ইত্যাদি। এর মাঝে যদি মেইল ভালো পান তবে ধারাবাহিক চেক করতে পারেন।

Mail Setup Guide: আপনি চাওয়ার উপর ভিত্তি করে আপনাকে মেইল দেওয়া হবে সেটাপের জন্য। নির্দিষ্ট সময় থাকবে সেটাপের। উক্ত সময়ের মধ্যে মেইল সেটাপ শেষ করবেন। যেহেতু মেইল গুলো কিনে নেওয়া হয় তাই সেটাপ শেষে মেইল সেলারকে রিপোর্ট ও পেমেন্ট করতে হয়। যদি নির্দিষ্ট সময়ে সেটাপ না হয় তবে অনেক সমস্যা পড়তে হয়। মেইল নেওয়ার পর কোনো কারনে যদি সেটাপ করতে না পারেন তা আগেই এডমিনকে জানিয়ে দিবেন। এতে অন্য কাউকে মেইলগুলো দিয়ে সেটাপ করে নেওয়া যাবে।

Mail Setup Limit: প্রতি মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন ২০-২৫ টি জিমেইল সেটাপ করতে পারবেন। এর বেশি করলে সকল জিমেইল নষ্ট হতে পারে। জিমেইল সেটাপ করার জন্য বিরতি দিবেন। মানে একসাথে ৮-১০টা জিমেইল সেটাপ করে আর করবেন না। আবার কয়েক ঘন্টা পর একই নিয়মে সেটাপ করবেন। টানা ২০ টা মেইল কখনোই সেটাপ করা যাবে না। মেইল সেটাপের সময় ভিনিএন কানেক্ট করতে হবে না। কিন্তু কাজের সময় সেটাপ করলে ভিপিএন অন করবেন কারন ভিপিএন অন করে জিমেইল লগিন করে রিভিও দিলে লাইভ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। কম্পিউটার দিয়ে কখনোই জিমেইল সেটাপ করবেন না।

Mail Rest: মেইল সেটাপ করে সাথে সাথে কাজ না করলে কিছুদিন পর কাজ করতে হবে। একদিন সেটাপ করে পরেরদিন কাজ করতে গেলে জিমেইল লক দেখাতে পারে।

এরকম রিকোভার একাউন্ট দেখালে ভাববেন মেইলটা লক অবস্থায় আছে। এজন্য ৫-৭দিন অপেক্ষা করে তারপর কাজ করবেন দেখবেন লক ছেড়ে গেছে।

সেটাপ করার পর অনেক সময় মেইল গুলো ভেরিভাইড চাই। এরকম আসলে মেইলগুলো আর চেক করবেন না। এরকম মেইল চেক করলে পরে তা নষ্ট হয়ে যাবে। তাই যে সেলারের মেইল সেটাপের পর একম হবে সেই সেলারের আর মেইল চেক করবেন না। ৭-১০দিন পর উক্ত সেলারের আরেকটা মেইল চেক করে দেখবেন যদি ঠিক হয়ে থাকে তো ভালো সেইম সমস্যা হলে আর চেক করবেন না।

Mail Color: যখন আপনাকে সেটাপের জন্য মেইল দেওয়া হবে তখন মেইলের কোনো রঙ থাকবে না। কিন্তু যখন আপনি মেইলটি সেটাপ করবেন। মেইল ভালো হলে তার কালার/ব্যাকগ্রাউন্ড হলুদ করে দিবেন। মেইলটি নষ্ট বের হলে কালার/ব্যাকগ্রাউন্ড লাল করে দিবেন। পরবর্তিতে মেইলটি দিয়ে যখন কাজ করবেন তখন সেটার কালার/ব্যাকগ্রাউন্ড সবুজ করে দিবেন।

Mail User Manual: মেইল দিয়ে কাজ করার সময় বা পরে কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য রাখা জরুরী। প্রথমত, মেইল নামটি জিমেইলের নামের সাথে শিটে রাখা নাম মিল আছে নাকি দেখে নিবেন। মিল না থাকলে জিমেইলের নাম অনুসারে শীটে বসাবেন। অন্যদিকে নাম হিবিজিবি থাকলে তা পরিবর্তন করে নিবেন। যে কম্পানিতে মেইল দিয়ে কাজ করবেন সে কম্পানির নাম মেইলের পাশে লিখে দিবেন।

উপরোক্ত সকল বিষয়ে মেন্টর দ্বারা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া আলাদা কোনো সমস্যা হলে এডমিন প্যানেলে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করে নিবেন। আর্টিক্যালটি পরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।